স্রোত যেদিকেই থাকুক, মাঝি তার নৌকা নিয়ে নিজস্ব গতিতেই ছুটে চলেন। একই ভাবে একজন ব্যবস্থাপক হাজারও বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে ছুটে চলেন আপন গন্তব্যে। এই ছুটে চলার মাঝে ব্যবসায়ের আর্থিক খাত, কর্মীদের থেকে কাজ আদায় ও বাজার প্রতিযোগিতার মতো কাজগুলো সাড়তে হয়। তবে বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করলে একজন ব্যবস্থাপক তার কোম্পানিকে আরও বেশি সফল করতে পারেন-

ন্যায়বিচার করুন

কোম্পানির মুখপাত্র হিসেবে একজন ব্যবস্থাপক অধীনস্থ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেন। অধীনস্থ ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার করা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব। বিশেষ করে সফলতা ধরে রাখার জন্য ব্যবস্থাপক কখনোই স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি-গ্রস্ত হতে পারেন না। 

নেতা হয়ে উঠুন

সাধারণত কোম্পানির ব্যবস্থাপক অধীনস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে একজন দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপক কখনোই অধীনস্থদের সঙ্গে অনর্থক গল্প-গুজব করতে পারেন না। কারণ এতে কোম্পানির মূল্যবান সময়ের অপচয় হয় এবং তার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। অধীনস্থদের সঙ্গে অনর্থক গল্পগুজব করলে কোম্পানিতে ব্যবস্থাপক তার মর্যাদা হারান। পক্ষান্তরে কোম্পানিকে সুদক্ষভাবে পরিচালনার মাধ্যমে অধীনস্থদের সামনে ব্যবস্থাপক নিজেকে আইডল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। 

কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা

একজন ব্যবস্থাপকের মধ্যে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা থাকা জরুরি। অধীনস্থদের মধ্যে কেউ দায়িত্বে অসচেতন হলে তার বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। ইন্টারভিউয়ের সময়ে কে ভালো কাজ করতে পারবে আর কে পারবে না সেটি নির্ধারণ করার দক্ষতা ও পারদর্শিতা থাকতে হবে।

আইন অনুযায়ী চলতে হবে

কোম্পানির ব্যবস্থাপককে সফলতা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরি। রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী অধীনস্থ কর্মকর্তারা মাতৃকালীন ছুটি ভোগের অধিকার রাখেন। তাদের কেউ সন্তানসম্ভবা হলে তাদেরকে কাজের নির্দেশ দেয়া অমানবিক। দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপক সফলতা ধরে রাখার জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করেন। 

কোম্পানির নীতিমালার দিকে খেয়াল রাখতে হবে

ব্যবস্থাপক হিসেবে টিকে থাকার জন্য কোম্পানির নীতিমালার প্রতি খেয়াল রাখা অতীব জরুরি। ব্যবস্থাপক কখনো কোম্পানির নীতিমালা পরিপন্থী কোনও কাজ করতে পারেন না এবং কোম্পানি এমন কাজ কেউ করলেও তাকে ছাড় দিতে পারেন না। কোম্পানিতে তার অবস্থান ও নীতিমালার প্রতি তাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হয়। 

কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা

ব্যবস্থাপক হিসেবে সফলতা ধরে রাখার জন্য কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা প্রয়োজন। ব্যবস্থাপকের দায়িত্বশীল মনোভাব অধীনস্থদের মধ্যেও গুরুতর প্রভাব ফেলে। তাই ব্যবস্থাপককে কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখতে হবে, সফলতা কেবল কাজের মাধ্যমেই আসে। তাই কাজকে ভালবাসতে হবে এবং কোম্পানি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। 

এইচএকে/ আরআর