করোনা মহামারির কারণে অনেকে ঘরে বসে অফিসের কাজ করছেন। সে কারণে অনেক চাকরিজীবী মনে করছেন, ভবিষ্যতে হয়তো বেশিরভাগ সময় ঘরে বসেই কাজ করতে হবে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় বিষয়টি নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যারা ঘরে বসে কাজ করেন তারা পরিশ্রম বেশি করেন। কিন্তু সে তুলনায় পারিশ্রমিক পান একেবারেই অল্প। প্রতিবেদনটিতে আরও চারটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পারিশ্রমিক পান কম 
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গড়ে ৩৮ শতাংশ মানুষ ঘরে বসে কাজ করেছেন ও তাদের পারিশ্রমিক একেবারেই কম। তারা বলছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের তুলনায় অফিসে যারা কাজ করেন তারা বেশি বোনাস পেয়ে থাকেন। 

রয়েছে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে 
গবেষণায় পাওয়া গেছে, গত বছরে হোম-অফিস কর্মকর্তাদের অসুস্থতার গড় হার ছিল ০.৯ শতাংশ। ভার্জিন মিডিয়া অ্যান্ড বুপার গ্রুপ চিফ পিপল অফিসার এলিসা নার্দি বলেন, ঘরে বসে অফিসের কাজ করতে করতে অনেকের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
 
করতে হয় অতিরিক্ত কাজ  
গত বছরে যারা ঘরে বসে অফিসের কাজ করেছেন তাদের সপ্তাহে একবার হলেও অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সময় দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। এ গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে যারা অতিরিক্ত সময় কাজ করেছেন, তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে বেশিরভাগ কোম্পানি হোম অফিসের মাধ্যমে কাজ করতে থাকে। এর ফলে কাজে প্রায়ই অনিয়ম হয়েছে এবং কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে তারা অতিরিক্ত কোনও পারিশ্রমিক পাননি। 

কাজ শুরু করতে হয় সন্ধ্যায় 
মহামারি পরিস্থিতির কারণে কাজের সময়সূচীতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরে বসে যারা অফিসের কাজ করেছেন তাদের কাজ শুরু হয়েছে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে এবং শেষ হয়েছে রাত এগারোটায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা ঘরে বসে কাজ করেছেন, সম্ভবত তাদের এভাবেই চাকরি করতে হবে। 

এইচএকে/আরআর