অফিসে হাসির পাত্র হচ্ছেন না তো?
হাতে কাজ, মুখে গল্প- বেশিরভাগ অফিসের এই চিত্র। আবার অনেকেই আছে কাজ শেষ আড্ডা দেন। কিন্তু অনেক সময় সহকর্মীদের সাময়িক হাসি-তামাশার কারণে সম্মানহানির সম্ভাবনাও থাকে। এ কারণে সহকর্মীদের আড্ডায় কিছু কৌশলী হলে ক্ষতি নেই-
ব্যক্তিগত কথা বলবেন না
বিজ্ঞাপন
সহকর্মীদের কাছে ব্যক্তিগত তথ্য কম শেয়ার করাই ভালো। বিশেষ করে পারিবারিক সমস্যা, দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপড়েন, প্রেমে ব্যর্থতা কিংবা আর্থিক সমস্যার কথা- না বলাই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে আপনি সহকর্মীদের গল্পের খোরাক যোগাচ্ছেন। পরবর্তীতে যেকোনো প্রসঙ্গ টেনে তারা আপনাকে নিয়ে গল্প করতে পারে। প্রায়ই দেখা যায়, কোনও গোপন কথা প্রকাশ হয়ে গেলে সেটি আর গোপন থাকে না। আশেপাশে সহকর্মীরা তো জেনে যায়ই, পুরো অফিসে কথাটি সয়লাব হয়ে যায়। তাই বিশ্বস্ত সহকর্মী ছাড়া কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা উচিত নয়।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
বিজ্ঞাপন
কিছু কিছু মানুষ রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। রেগে গেলে তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। অনেকে আবার হাতাহাতি থেকে মারামারিও বাধিয়ে দেন। আপনার মধ্যে যদি অতিরিক্ত রেগে যাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে নিজেকে সামলে নিন। স্থির হোন এবং সময় নিন। যতক্ষণ রাগ না কমে, ততক্ষণ পর্যন্ত চুপ থাকুন। শান্ত হলে আপনার মনোভাব অন্যদের কাছে শেয়ার করুন। যারা এসব কাজ করেন, তাদের নিয়ে সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন, সমালোচনা করেন।
অফিসের বাইরেও ভালো ব্যবহার করুন
হয়তো ভাবছেন অফিসের বাইরে ভালো ব্যবহার করার প্রয়োজন কি? অবশ্যই প্রয়োজন আছে। ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। বস কিংবা সহকর্মীর সঙ্গে অফিস এবং অফিসের বাইরে ভালো ব্যবহার করতে হবে।
মার্জিত পোশাক পরুন
পোশাকেই মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। তাই পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হোন। যে পোশাকের কারণে সমাজের আর দশটা মানুষের কথা শুনতে হবে না সে পোশাক না পরাই ভালো। অফিসে সবচেয়ে বেশি যা নিয়ে সাধারণত সহকর্মী কথা বলেন সেটি হলও পোশাক। আঁটসাঁটও পোশাকে পরে অফিসে গেলে সহকর্মীদের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হবে। এমনকি হতে পারেন হাস্যরসের পাত্রও।
এইচএকে/আরআর