শিক্ষা-বৃত্তি প্রদান করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের অধীন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি দিবে। ২০২০ সালে এসএসসি বা সমমানে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে যারা বিদেশ গেছেন অথবা বিদেশে কর্মরত যেসব কর্মী দূতাবাস বা হাইকমিশনের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হয়েছেন, তাদের সন্তানেরাই শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত হারে বৃত্তি পাবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে

১। পিতা/মাতা প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্ট, ভিসা এবং বিএমইটি'র বহির্গমন ছাড়পত্র/ ম্যানপাওয়ার ক্লিয়ারেন্স সম্বলিত পাসপোর্ট বা বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপের ফটোকপি।

২। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি।

৩। প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক এসএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্রের (মার্কশিট) সত্যায়িত ফটোকপি।

৪। মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের ক্ষেত্রে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত এনওসি সনদ। তবে অনলাইনে আবেদন করলে প্রাথমিক ভাবে এসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে না।

বৃত্তির পরিমাণ

১। এসএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ২ বছর ও ডিপ্লোমায় অধ্যয়নরতদের ৪ বছর মাসিক ২ হাজার টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

২। বৃত্তির সঙ্গে বার্ষিক এককালীন বই ও শিক্ষা উপকরণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ৩ হাজার ৫শ টাকা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আবেদন করা যাবে দুই ভাবে-

১। অনলাইনে আবেদন করা যাবে http://stipen.wewb.gov.bd/stipend/#/application-form এই ঠিকানায়।

২। সরাসরি আবেদন করতে চাইলে বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ৯ম তলা, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড. ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা-১০০০ বরাবর পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত