জিএম কামরুল হাসান। দেশের করপোরেট সেক্টরের সফল একটি নাম। দীর্ঘ ২৬ বছরের ক্যারিয়ারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিন্দাবাদ ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এছাড়া বাংলাদেশ করপোরেট ফোরামের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি নিজের সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প নিয়ে ঢাকা পোস্টের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। 

ক্যারিয়ারের শুরুর গল্প

শুরুটা ১৯৯৫ সালে, নেসলে কোম্পানির মাধ্যমে। এ প্রতিষ্ঠানে ১২ বছর কাজ করেছি। এরপর রহিমআফরোজ কোম্পানিতে ১ বছর কাজ করেছি। সেখান থেকে নিউজিল্যান্ড ডেইরি ও তাদের মূল প্রতিষ্ঠান ফন্টেরাসহ প্রাণ আরএফএল গ্রুপের মার্কেটিং হেড হিসেবেও দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের দিকে ইগলুতে সিইও হিসেবে যুক্ত হই। সেখানে সম্মানের সঙ্গে ৫ বছর কাজ করেছি। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সিন্দাবাদ মাল্টিন্যাশনাল ই-কর্মাস কোম্পানির সঙ্গে আছি। এই ২৬ বছরের চাকরি জীবনে অনেক উল্থান পতন দেখেছি।

সাফল্যের চাবিকাঠি

সফলতার পথ সহজ নয়। প্রত্যেক দিন একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আমার বিশ্বাস যদি কারও লক্ষ্য ঠিক থাকে এবং ঠিকভাবে কাজগুলো করতে পারে তাহলে সফলতা আসবেই।

প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি

যখনই কেউ সামনের দিকে আগাতে চায়, তখনই পেছন থেকে হাজারও প্রতিবন্ধকতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। কেউ যদি ভেবে থাকে প্রতিদিনই সবকিছু ভালো যাবে, তাহলে সেটি ভুল। হোঁচট খেয়ে উঠে দাঁড়ানোটাই আসল। একমাত্র কাজের মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ফলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। যেকোনো পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। যতই বাঁধা আসুক না কেন, সব বাঁধাকে উপেক্ষা করেই সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সফলতা আসবেই।

তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে করে কাজ করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং।

সিন্দাবাদ ডটকমের কার্যক্রম

প্রথমেই বলে রাখি, সিন্দাবাদ ডটকম একটি ম্যাল্টিন্যাশনাল ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান। সিন্দাবাদ ডট কম দেশের প্রথম বি টু বি অনলাইন শপ-যেখান থেকে অফিস, ফ্যাক্টরি বা যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি খুব সহজে কিনতে পারে। সকল অর্ডার সঠিক সময়ে অফিস এবং ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দিতে সক্ষম সিন্দাবাদ ডট কম।

এখনও স্বপ্ন আছে

আমি ২৬ বছর ধরে করপোরেট সেক্টরে কাজ করছি। তবে নতুন করে শুরু করতে পারলে ব্যবসায়ই করতাম। এখন অন্যের হয়ে ব্যবসা করছি তখন নিজের ব্যবসা করতাম। এছাড়াও যদি সুযোগ হতো তাহলে আমি হয়তো নিজে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফেলতাম। তবে আমার এখনও স্বপ্ন আছে, দেখি কতদূর কি করা যায়?

ভবিষ্যত পরিকল্পনা

বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেমন বেশি তেমন ভোক্তাও বেশি। আমি বর্তমানে একটি ফ্যাশন ব্র‍্যান্ড নিয়ে কাজ করছি। ব্র্যান্ডটির নাম ফিওনা। আমি চাই আমার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট যেনো সব শ্রেণির মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে।