চলমান করোনা মহামারিতে অনেকেই কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহের পর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। আবার অর্থাভাবে অনেক প্রতিষ্ঠানে চলছে গণ ছাটাই। চাকরিচ্যুতির কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকে নতুন উদ্যমে ব্যবসার পরিকল্পনাও করছেন। কিন্তু মহামারির এই সময়ে কোন ধরনের ব্যবসা করা যেতে পারে?

কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পাঁচ ধরনের ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসুন এ পাঁচ ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

ই-কমার্স ম্যানেজার

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এসে ই-কমার্স ম্যানেজারের কাজ বেশ লাভজনক। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ই-কমার্স ম্যানেজারের কাজ করে মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। এটি মূলত ফ্রিল্যান্সিং পেশার অন্তর্গত। অনেক ফ্রিল্যান্সারকেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ই-কমার্স ম্যানেজারের কাজ করতে দেখা যায়। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্যের অধীনে কাজ না করে নিজেরই ব্যবসা শুরু করা উচিত। এতে নিজের ও অন্যের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। ই-কমার্স ম্যানেজারের কাজ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

ডেলিভারি সেবা

মহামারির কারণে বাজারে যাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে অনেকেই ঘরে বসে খাবার ও মসলাপাতি অর্ডার করছেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে। অনলাইনে অনেকে বিকেলের নাশতাও অর্ডার করছেন। মহামারির সময়ে চাকরিচ্যুত মানুষেরা ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে আয় রোজগার করতে পারেন।
কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের স্বাবলম্বী করে তোলা যায়। নিজে থেকেও ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করা যায়। আবার উবার ইটস, পাঠাও ফুডসহ অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমে ডেলিভারি সেবা দেওয়া যায়। 

হোম হেলথকেয়ার

করোনার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। তার ওপর লক ডাউন আরোপ করায় অনেকেই হাসপাতালে যেতে পারছেন না। ফলে অনেকে ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন। আপনার যদি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে ধারণা থাকে তাহলে আপনিও হোম হেলথকেয়ার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মেডিকেল সায়েন্সে পারদর্শী ব্যক্তিরাই এমন সার্ভিস দিতে পারেন। হোম হেলথ কেয়ারের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন।

অনলাইন টিউশনি

মহামারির কারণে বাড়িতে গিয়ে টিউশনি করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তাই বলে জীবন তো থেমে থাকে না। অনলাইনে জুম কিংবা গুগল মিট ব্যবহার করে অনেকেই টিউশনি করছেন। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অর্থ লেনদেনের সময় মোবাইল ব্যাংকিং অথবা মূল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। 

স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে অনেকেই মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠছেন। অনলাইন টিউশনি সম্পর্কে কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চাকরি চলে গেলে হতাশ না হয়ে উদ্যমী হওয়া উচিত। অনলাইন টিউশনির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। 
 
ঘর জীবাণুমুক্ত করার ব্যবসা

চলমান লকডাউনের মধ্যে ঘর জীবাণুমুক্ত করার ব্যবসার মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। কেননা মহামারির পরেও এ ব্যবসা বেশ লাভজনক হবে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘর জীবাণুমুক্ত করার সেবা বাণিজ্যিক কিংবা ঘরোয়া যেকোনোভাবেই হতে পারে। তবে এ ব্যবসা বাণিজ্যিকভাবে করলে বেশি লাভ হবে। 

এইচএকে/আরআর