চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠানই হোম-অফিসের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নানা ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা থাকার পরেও বেশিরভাগ কর্মীই এই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হোম-অফিসের কারণে অনেক কর্মীর জীবনেই এসেছে পরিবর্তন।

পুরো পৃথিবীকেই ওলট-পালট করে দিয়েছে করোনা মহামারি। একে কেন্দ্র করে বিশ্বের অনেক দেশেই মাস্ক পরে চলাফেরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরোপ করা হয়েছে লকডাউন ও কঠোর বিধি নিষেধ। এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘরে বসে কর্মীদের কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 

এদিকে ঘরে বসে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা সুবিধা ও অসুবিধা উভয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। সুবিধার মধ্যে- হোম-অফিসে স্বাস্থ্যসুরক্ষা, অর্থ ও সময় সাশ্রয় এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে আরেক গবেষণা প্রতিবেদনে হোম-অফিসে কর্মীদের অসুবিধার চিত্রও উঠে এসেছে। ফ্লেক্সজবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, হোম অফিসের কারণে অনেকে সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা হারিয়েছেন। আবার অনেকে কারিগরি ত্রুটির মুখোমুখিও হয়েছেন।

হোম-অফিসের কারণে বিব্রতও হয়েছেন কেউ কেউ। ফ্লেক্সজব জানায়, হোম-অফিসের বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেকেই তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি ক্ষুব্ধ।

জটিলতার পরেও অনেকে হোম-অফিসে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ফ্লেক্সজবের গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর হোম অফিস বাদ দিতে বলায় ৫৮ শতাংশ কর্মীই চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ঘরে বসে কাজ করে কর্মীরা ইতিবাচক সুযোগ পেয়েছে। ফলে তারা এখন অফিসে গিয়ে কাজ করতে চাইছেন না ।

তাছাড়া প্রতিদিনই ভয়াবহভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এমন অবস্থায় বাইরে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না অনেক কর্মী।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মহামারি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক, ভয় ও উত্তেজনা। সেই কারণে হোম-অফিসের মাধ্যমে কাজ করতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। 

এইচএকে/আরআর