চাকরি পরিবর্তন বেশ কঠিন কাজ, তবে অসম্ভব নয়। এক চাকরি থেকে অন্য চাকরিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো মানুষকেই কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। দায়বদ্ধতার বেড়াজালে আটকে থেকে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া সবার জন্যই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্যই-

ক্যারিয়ারের ব্যাপারে ভাবুন 
যদি এমন হয়, আপনি এখন যে অবস্থানে রয়েছেন তার প্রতি মোটেই সন্তুষ্ট নন অথবা কাজের ব্যাপারে কোনোভাবে ভারসাম্য করতে পারছেন না। এ অবস্থায় নতুন পেশায় যেতে চাইছেন। আপনি যদি সৃজনশীল কাজ করতে আগ্রহী হন অথবা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তবে দক্ষতা ও আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করুন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

দক্ষতা ও আগ্রহ সম্পর্কে ভাবুন 
নতুন চাকরিতে যাওয়া আগে নিজের দক্ষতা ও আগ্রহের জায়গা সম্পর্কে ভাবা উচিত। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কিসে ভালো? কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে? কি কি দক্ষতা রয়েছে? দক্ষতা ও আগ্রহের ব্যাপারে একটি নোটবুকে লিখে রাখুন। যাতে সেগুলো নতুন পেশায় ক্যারিয়ার তৈরিতে সহায়ক হয়। 

সুযোগ সম্পর্কে দৃষ্টি রাখুন 
দক্ষতা ও আগ্রহের বিষয়ে তালিকা করার পর কোন কোন পেশা আপনার পছন্দনীয় তার একটি তালিকা করুন। কোন পেশায় অনুকূল পরিবেশ রয়েছে সেটিও বিবেচনা করুন। কেউ মনে করতে পারেন তিনি অন্য পেশা থেকে বের হয়ে যাবেন। এরপর শিক্ষকতা পেশায় ক্যারিয়ার তৈরি করবেন। এক্ষেত্রে তাকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিও প্রাধান্য দিতে হবে। যদি ক্যারিয়ারের প্রয়োজনে কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন হয় তবে সে জন্য তাকে পড়াশুনা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষকতা পেশায় ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ানোর ব্যাপারেও সমান পারদর্শী হয়ে উঠতে হবে। আবার কেউ যদি ওয়েব ডিজাইন করতে চান তবে তাকে সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। 

আর্থিক সামর্থ্যের বিষয়টি ভাবুন 
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক পেশা থেকে অন্য পেশায় যাওয়ার প্রধান কারণ আর্থিক অসচ্ছলতা। অনেকেই অর্থাভাবে পেশা পরিবর্তন করেন। তাই নতুন পেশায় যোগ দেয়ার আগে অর্থনৈতিক সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। নতুন কোনো ব্যবসা করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। পার্ট-টাইম চাকরিতে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে যেখানে উপার্জনের সুযোগ রয়েছে সেখানেই যোগ দিতে হবে। 

স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করুন 
দক্ষতা তৈরি ও প্রমাণের জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। নতুন পেশায় ক্যারিয়ার তৈরিতে দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সঙ্গে অভিজ্ঞতাও। কারণ চাকরির বাজারে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উভয়ই জরুরি। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করা সম্ভব। এভাবে নতুন পেশায় যোগ দেয়া সহজ হয়।