বেশিরভাগ করপোরেট অফিসেই কর্মঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় অবস্থান করেন কর্মীরা। কেউ কেউ আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ মেটাতে গিয়ে অফিসকেই ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, অফিসে বেশিক্ষণ অবস্থান করা মানেই কি বেশি বেশি কাজ করা বোঝায়? অন্যভাবে বললে, অফিসে দীর্ঘসময় থাকা মানেই কি পরিশ্রমী কর্মী? উত্তর ‌‌‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ যাই আসুক, চলুন তার আগে জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

কাজে গতি নেই

শোনতে খারাপ লাগলেও ঘটনা সত্য। কোন কোন কর্মীর কাজে গতি একদমই কম। ধীরগতি সম্পন্ন এসব কর্মী স্বাভাবিক ভাবেই অফিসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। মানে অন্যরা যে কাজ অফিস টাইমের মধ্যে সম্পন্ন করেন, তিনি সেই কাজ করতে আরও বেশি নেন। কাজের পরিমাণ একই থাকে, কিন্তু সময় লাগে বেশি। ফলে তারা যতই দীর্ঘসময় ধরে অফিসে অবস্থান করুক না কেন, তাদের পরিশ্রমী কর্মী বলার সুযোগ নেই।

উৎপাদনশীলতা হ্রাস

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে অফিস করলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে না। শুরুর দিকে কিছুটা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা দিলেও দিন যতই যায়, উৎপাদনশীলতায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সঙ্গে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকছেই।

কাজে মনোযোগ থাকে কম, সংসারে অশান্তি

কর্মক্ষেত্রে বেশি সময় লাগানো মানে ব্যক্তিগত সময় কম থাকা। যা কর্মজীবীদের পারিবারিক এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সংসারে অশান্তি হয়। কার্যত মাথায় সাংসারিক ঝামেলা নিয়ে অফিসের কাজে মন থাকে না। অর্থাৎ অফিসে বেশি সময় থাকা হয় ঠিকই কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। পাশাপাশি পরিবার, বন্ধু এবং প্রিয়জনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

মানসিক সমস্যা

এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় এটি স্পষ্ট হয়েছে।

উল্লেখ্য,এই লেখার উদ্দেশ্য কাউকে স্বেচ্ছায় বেশি কাজ বা অফিসে বেশি সময় দেওয়া থেকে বিরত করা নয়। বরং দীর্ঘক্ষণ অফিসে অবস্থানকারী মানেই যে বেশি পরিশ্রমী নয় সেটা বোঝানো। এতে অনেক কর্মীই নিজের পাশাপাশি অফিসের ক্ষতি করে বসেন।