ভাইভা বোর্ডে এড়িয়ে চলবেন যে ৮ বিষয়
চাকরির ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ করে অনেকেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। স্বল্প প্রস্তুতির সঙ্গে চাপ সামলাতে না পেরে নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করে বসেন অনেকেই। কিন্তু কিছুটা কৌশলী হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলেই সফল হওয়া সম্ভব।
এরআগে চলুন জেনে নিই, এমন কিছু ভুল; যা সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির ভাইভা বোর্ডে ভুলেও করা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
নিজেকে অযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করা
অনেক সময় চাকরিপ্রার্থী উদ্বিগ্ন থাকার কারণে ভাইভাবোর্ডে নিজেকে অযোগ্য প্রমাণ করে ফেলেন। ফলে চাকরি নামের সোণার হরিণটির দেখা মেলেনা। তবে ভাইভাবোর্ডে চিন্তামুক্ত হয়ে গেলে এমনটি হয় না। তাই দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে সবার আগে।
বিজ্ঞাপন
বেতন ও প্রমোশনের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করা
চাকরি না হতেই বেতন ও প্রমোশনের ব্যাপারে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। কিন্তু এই আত্মঘাতী পথ অবলম্বন করা উচিৎ নয়। কারণ যদি চাকরিদাতাদের বেতন ও প্রমোশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে আপনার সম্পর্কে চাকরিদাতাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। এতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা না রাখা
কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা না রেখে ভাইভা দিতে গেলে চাকরি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। কারণ চাকরিদাতারা আপনার দক্ষতার পাশাপাশি যে জিনিস দেখে তা হলো তাদের কোম্পানি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে কিনা?
অকারণ প্রশ্ন না করা
অনেক চাকরিপ্রার্থী অকারণ প্রশ্ন করে থাকেন। এটি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অন্তরায়। কারণ অকারণ প্রশ্ন করলে চাকরিদাতারা বিরক্ত হন। তাই অকারণ প্রশ্ন না করাই সমীচিন।
সঠিক তথ্য না দেয়া
ইন্টারভিউয়ে অনেকে সঠিক তথ্য দেন না। অনেকে ইন্টারভিউয়ে চাকরিদাতাদের কাছে যে দক্ষতা তার মধ্যে নেই সেই দক্ষতা উপস্থাপন করেন। এমন কাজ করলে চাকরিদাতারা অসন্তুষ্ট হন প্রার্থীর ওপর। সঠিক তথ্য না দিলে চাকরি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিলম্বে উপস্থিত হওয়া
ইন্টারভিউতে দেরি করে উপস্থিত হওয়া। এতে চাকরিদাতারা প্রার্থীর ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। এমন কাজ করার কারণে চাকরির সুযোগ হারান প্রার্থী।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ভুলে যাওয়া
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ভুলে যাওয়ার কারণে চাকরির সুযোগ হারান অনেক প্রার্থী। তাই সিভি, এসএসসি, এইচএসসির সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে কখনোই ভুল করা যাবে না।
ধন্যবাদ না জানানো
অনেক প্রার্থী চাকরিদাতাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যান। ছোট এই ভুলের জন্য অনেকেই চাকরির সুযোগ হারান। তাই মানুষ ধন্যবাদ জানানোর অভ্যাস করা অপরিহার্য।
এইচএকে/আরআর