চাকরি খুঁজছেন? এরআগে আপনার মধ্যে থাকা চাই দুই গুণ। একটি সৌজন্যবোধ অন্যটি ভদ্রতা। এ দুটি গুণ পেশাজীবনে জাদুমন্ত্রের মত কাজে দেবে।

সিভি অ্যান্ড রিজিউম কনসাল্টিং সংস্থা ‘জোফিবো’র প্রতিষ্ঠাতা ব্রিয়ান স্নেডভিগ বলেন, ‘সফলতা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ব্যক্তি এনে দেবে না। এটি অর্জনের জন্য নিজেকেই লড়াই করতে হবে। এজন্য সৌজন্যবোধ ও ভদ্রতা বেশ কাজে দেয়।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে ভদ্রতা কেন বজায় রাখতে হবে?

সৌজন্যবোধ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে। দ্রুত অন্য মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার এটি এক গোপন ফরমুলা।

এর উত্তর দিয়েছেন কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞ মাইক কমিভস। তিনি বলেন, ‘ সুন্দর ব্যবহার ও সৌজন্যবোধের অধিকারী চাকরিপ্রার্থীকে সাধারণ প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রাখে। সাধারণত নিয়োগকর্তারা প্রথম ৪ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই একজন প্রার্থী সর্ম্পকে ধারনা নিয়ে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে চাকরিদাতারা আশা করেন তারা নিজের সম্পর্কে ভালোভাবে জানুক।’

সহযোগী মনোভাব রাখা 

মাইক কমিভসের ভাষায়, ‘চাকরিপ্রার্থীদের অবশ্যই অন্যদের সাহায্য করার মানসিকতা থাকা উচিত।’ 

‘চাকরিপ্রার্থীরা বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর ব্যবহার ভালো না হওয়ার কারণে চাকরি হয় না। কখনো কখনো তাদের অসহযোগী মনোভাবের কারণে ফলাফল নেতিবাচক হয়।’

সব ক্ষেত্রেই সহযোগী মনোভাব অন্য মানুষের কাছে আপনাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তা কিংবা অফিসের বস আপনাকে অন্যভাবে মূল্যায়ন করবে। এই মূল্যায়নই পরবর্তীতে পদন্নোতি বা চাকরি পেতে সাহয্য করবে।

ভদ্র থাকার বিকল্প নেই

২০১০ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন ‘আপনারা কি বুদ্ধিমান হতে চান নাকি সহনশীল হতে চান?’ 

‘আমি এখন আপনাদের আরও সংশয়ে ফেলবো। যখন আপনার বয়স ৮০ বছর হবে এবং আপনাকে বলা হবে আপনার জীবনের সবচেয়ে প্রাণবন্ত কাজ কোনটি; তখন কোন কাজকে প্রাধান্য দেবেন? 

সবশেষ আপনি যে অপশনটিই বেছে নেন না কেন? সৌজন্যবোধকে এড়িয়ে গেলে, সফলতাও আপনাকে এড়িয়ে যাবে।

চাকরিপ্রার্থীরা বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর ব্যবহার ভালো না হওয়ার কারণে চাকরি হয় না। কখনো কখনো তাদের অসহযোগী মনোভাবের কারণে ফলাফল নেতিবাচক হয়।

-মাইক কমিভস

সৌজন্যবোধের সুবিধা

আগেই বলা হয়েছে, সৌজন্যবোধ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে। দ্রুত অন্য মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার এটি এক গোপন ফরমুলা।
মনোবিজ্ঞানী জানেট স্কারবরোঘ সিভিটেলি বলেন, ‘সৌজন্যবোধের মাধ্যমে বাস্তবিক অর্থে উন্নতির পথে যাওয়া সম্ভব।’ 

এইচএকে/আরআর