ভার্চুয়াল দুনিয়ায় পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরির উপায়
করোনা মহামারি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরির্বতণ এনেছে। মুখোমুখি আড্ডার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে ভার্চুয়াল যোগাযোগ বা সম্পর্ক। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সহজেই তৈরি করা সম্ভব পেশাদার নেটওয়ার্ক। সম্প্রতি লিংকডইন তাদের ব্লগ সাইটে এ নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক লেখা প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে যেহেতু ঘরের বাইরে গিয়ে বন্ধু বা সহকর্মীদের আড্ডা সম্ভব হচ্ছে না সেহেতু অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে ছোটখাটো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়। এরমধ্যে বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনও থাকতে পারেন। ফেসবুক, টুইটার বা লিংকডইনের মাধ্যমে অনেক সহজেই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
যেভাবে শুরু করবেন
নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত্য আছে এমন বিষয়ে কথাবার্তা বলুন। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বললে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী থাকে না। তাই ব্যবসা বা ক্যারিয়ারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
বিজ্ঞাপন
করোনা মহামারি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরির্বতণ এনেছে। মুখোমুখি আড্ডার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে ভার্চুয়াল যোগাযোগ বা সম্পর্ক। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সহজেই তৈরি করা সম্ভব পেশাদার নেটওয়ার্ক।
নেটওয়ার্কের কোনো ব্যক্তি যদি কোনো বিষয়ে বলতে গিয়ে আটকে যান, আপনার সেই বিষয় মনে থাকলে তা ওই ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দিন। এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হবে। নিজেরা সুসংগঠিত থাকলে নেটওয়ার্ক অনেক শক্তিশালী হয়।
নিজেদের জানুন
নেটওয়ার্ক মজবুত করার জন্য নিজেদের সম্পর্কে জানা অপরিহার্য। নিজেদের মধ্যে ভালোমতো জানাশোনা থাকলে ব্যবসা বা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা যায়। নেটওয়ার্ক শক্ত করার জন্য যেকোনো মিটিংয়ের শুরুতে প্রত্যেক সদস্যকে নিজের সম্পর্কে বলার সুযোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমে অন্যরা নেটওয়ার্কের কাজে উৎসাহিত হবে।
কোনো সুযোগ হারাবেন না
ব্যবসা বা ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে অহঃরহ সুযোগ আসে না। কোনো সুযোগ হারানোই ঠিক নয়। কারণ সুযোগ একবার আসে। কোনোভাবে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে পরে পস্তাতে হবে। এ কারণে ব্যবসা বা ক্যারিয়ারের কোনো সুযোগ এলে তা লুফে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
এইচকে/ আরআর