৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে শেষ সময়ে করনীয়
জীবনে দুইটি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। একটি ৩৮তম, অন্যটি ৪০তম। যার প্রথমটিতে স্বপ্নের পুলিশ ক্যাডার পেয়েছি (৩৬ তম মেধাক্রম)। আর ৪০তম পিএসসিতে চায়ের আমন্ত্রণ পেয়েছি। অভিজ্ঞতা খুবই অল্প বলে কখনো প্রস্তুতির বিষয়ে কিছু লেখার দুঃসাহস দেখাইনি।
তবে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি সামনে রেখে কিছু লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, অনেকটা দায়বদ্ধতা থেকেই। ১৯ মার্চ আসতে ৪০ দিনের কিছু বেশি সময় বাকি। এ সময়ে আমি হলে যা করতাম -
বিজ্ঞাপন
১. নতুন কোন বিষয় পড়ার লোভ সংবরণ করতাম (সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য বড়জোর কিছু পড়া বাদে)
বিজ্ঞাপন
২. আগের পড়া বিষয় গুলো বারবার দেখতাম (বিশেষ করে অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো)। সব বিষয় একসঙ্গে না পড়ে ২-৩ দিন করে সময় নির্ধারণ করে বিষয়গুলো শেষ করার চেষ্টা করতাম।
৩.গণিত এবং ইংরেজি প্রতিদিন ১ থেকে দেড় ঘণ্টা চর্চা করতাম।
৪.আলোচনা অংশ কম পড়তাম, এমসিকিউ অংশ বেশি পড়তাম
৫. যে বিষয়ে দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো একটু ঝালিয়ে নিতাম
৬. জব সল্যুশন টাইপ বই থেকে বিগত বছরের বিসিএস ও পিএসসির প্রশ্ন গুলো পড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতাম
৭. ৩-৪ দিনের মধ্যে যতটা সম্ভব একটা ডাইজেস্ট পড়তাম। যদিও অন্য বই পড়া থাকলে এটার দরকার হয়না (৩৮ এ অ্যাসিউরেন্স পড়েছিলাম)
৮. মানসম্মত একটা মডেল টেস্ট বই (অ্যাসিউরেন্স, ওরাকল পড়েছিলাম) থেকে দৈনিক অন্তত ১ টি করে মডেল টেস্ট দিতাম সর্বোচ্চ ১.২ ঘণ্টা সময়ে।
৯. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধু পড়াশোনার কাজ ছাড়া ব্যবহার করতাম না
১০. যথাসম্ভব সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার করতাম
১১. নিজের প্রস্তুতি নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করে নিজের মনোবল দুর্বল করতাম না
১২.সুস্থ জীবন যাপনের চেষ্টা করতাম আর প্রার্থনার মধ্যে আল্লাহর সাহায্য চাইতাম।
লেখক-
সহকারী পুলিশ সুপার (সদ্য গেজেটেড, ৩৮ তম বিসিএস)