অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। কারণে-অকারণে রিট করে কখনও আলোচিত, কখনও সমালোচিত হয়েছেন। অপ্রয়োজনীয় রিট করে আদালতের সময় নস্ট করার জন্য হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চ তাকে জরিমানাও করেছেন।

অন্যদিকে তার রিটের কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘এমপিরা সভাপতি থাকতে পারবে না’ বলে যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন আদালত। আবার ফেসবুকে ভার্চুয়াল আদালত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার কারণে জরিমানাসহ তার আইনজীবী সনদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। আলোচিত বিষয় নিয়ে রিট, আইনি নোটিশ পাঠিয়ে সব সময় আলোচনায় থাকতে চান এই আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে টানা ১১ বারের মতো সভাপতি প্রার্থী হয়ে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইউনুছ আলী আকন্দ।

বার বার নির্বাচন করার বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন করে আসছি।  

আমি শুধু সভাপতির চেয়ারে বসার জন্য নির্বাচন করি না, এটা একটা প্রতিবাদ। কারও না কারও তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। আমি প্রতিবারই নির্বাচন করে যাব। যতদিন আমার শক্তি থাকবে, আমি হাঁটাচলা করতে পারব, কথা বলতে পারব ততদিন আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে যাব।

তিনি আফসোস করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা দুই দলে বিভক্ত হওয়ার কারণে আমার মত নির্দলীয় প্রার্থী ভোট পায় না। নিরপেক্ষ মানুষজন আমাকে ভোট দেন। সুপ্রিম কোর্ট বারকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার জন্যই আমি ১১ বার নির্বাচন করেছি।

রিট করা আইনজীবী হিসেবে পরিচিত পাওয়া অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সভাপতি নির্বাচিত হতে পারলে আমি সব আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা করব। নির্বাচিত হতে পারলে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

একবার আইনজীবীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইনজীবীদের প্রতি আমার কথা হলো, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। আমি ১১ বার নির্বাচন করেছি, আমার যে কত ধৈর্য। আমার এই ধৈর্যের পুরস্কার হিসেবে আমাকে একটা ভোট দিবেন।  আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি সব আইনজীবীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রি কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদলকে সভাপতি ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল প্রতিদ্বন্দিতা করছে।

অন্যদিকে সভাপতি পদে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুন নূর দুলালের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল প্রতিদ্বন্দিতা করছে।

এমএইচডি/এসএম