রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২ মার্চ (মঙ্গলবার) জমা দেওয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় বিচারক বেগম ইয়াসমিন আরা নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৮ জানুয়ারি রাতে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আনুশকার বাবা মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং-৬)। মামলায় তার অভিযোগ, মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ফারদিন দিহান ৯ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

মামলার এজাহারে মো. আল আমিন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে তিনি ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। বেলা সাড়ে ১১টায় আনুশকা কোচিংয়ের পেপার আনতে বাইরে যাচ্ছে বলে ফোনে তার মাকে জানায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আনুশকা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

এজাহারে মো. আল আমিন বলেন, ৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আনুশকার মাকে ফোন দেয়। সে জানায়, আনুশকা তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করায়। এ কথা শুনে আনুশকার মা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

আনুশকার বাবা এজাহারে বলেন, তারা বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছেন দিহান তার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে বেলা ১২টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে দিহান ফাঁকা বাসায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে আনুশকা অচেতন হয়ে পড়ে। ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিহান তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিএইচ/জেডএস