গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আসিফের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মঈন ফরাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ আদেশ দেন।

পরে অভিযোগ গঠন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসিফ আকবর।

২০১৮ সালের ৪ জুন আসিফের নামে মামলা করেন শফিক। মামলার এজাহারে শফিক বলেছেন, ২০২০ সালের ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর 'সার্চ লাইট' নামের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সঙ্গীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করে দিয়েছেন।

পরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্ট এর চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড, গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এজাহারে আরও রয়েছে, পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে শফিক তুহিন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির সেই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।

পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। মোট ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।

এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সঙ্গীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।

এমএইচডি/জেডএস