রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দুদকের এ মামলায় সাহেদের বিচার শুরু হলো।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রোববার (১৭ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনের শুনানিকালে সাহেদ নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে এবং আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। নির্ধারিত সময়ে তিনি তা জমা না দেওয়ায় তাকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপরও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানের পর তার বিরুদ্ধে এ বছরের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

পরে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী মামলাটি তদন্ত করে দুদকের প্রতিবেদন দাখিল করলে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র অনুমোদন করা হয়।

২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

পরে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ১৮ জুলাই সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও মাদক উদ্ধার করে।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন।

ওএফ