রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট শুভ্রা চক্রবতী মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ধার্য করেন।

এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দু’টি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। মামলা দুটিতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইযুম বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় ২৪ জন এজাহারভুক্তসহ ব্যবসায়ী-কর্মচারী মিলে অজ্ঞাতপরিচয় তিনশজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ঢাকা কলেজের মিক্ষার্থীসহ আরও ৭শ জনকে আসামি করা হয়েছে।  তিনি বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় দেড়শ থেকে দুইশ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

এরআগে সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। তা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সোমবার রাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেছেন দুজন, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

নাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচা গতকাল (বুধবার) রাতে বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে আরও দুইটি মামলা করে একই থানায়। এর মধ্যে একটি পুলিশের ওপর হামলার দায়ে, আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা হয়েছে।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২০০ জন।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।

জেডএস