পাবনার ইছামতি নদীর তীরে ৪টি মৌজায় নদীর জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে স্থিতাবস্থার আদেশ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারী সংগঠন এইচআরপিবির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, নদী কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এন. এম আহসানুল হক। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পাবনার ইছামতি নদীর তীরে ৪টি মৌজায় নদীর জমিতে থাকা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন নোটিশ দিলে ৪৩ জন ব্যক্তি ২০২০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নদী কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদে স্থিতাবস্থা দেন। ওই আদেশের পর নদী কমিশনের পক্ষে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান প্রশাসন ও সবার উপস্থিতিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৪৩ ব্যক্তির দখলে থাকা জায়গাকে ইছামতী নদীর জায়গা হিসাবে মতামত দেন। নদী কমিশনের ওই প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ৪৩ ব্যক্তি হাইকোর্টে আবার রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আজ ওই স্থিতাবস্থা খারিজের আদেশ দেন আদালত। আদালত রায়ে বলেন, ঢাকার চারপাশের চার নদীর মামলায় নদীর সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী ধরতে হবে এবং আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল রেখেছেন। 

অন্যদিকে আপিল বিভাগের তুরাগ নদীর মামলায় নদীর সীমানা সিএস রেকর্ড অনুযায়ী জরিপের নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় এই মামলায় রায় সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।

এমএইচডি/জেডএস