রাজধানীর নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডেলিভারিম্যান নাহিদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন দুপুরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তারিকুল আলম জুয়েল।

গ্রেপ্তার ৫ শিক্ষার্থী হলেন; ঢাকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আব্দুল কাইয়ূম (২৪), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের পলাশ মিয়া (২৪) ও মাহমুদ ইরফান (২৪), বাংলা বিভাগের ফয়সাল (২৪), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের মো. জুনায়েদ বুগদাদী (১৯)।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া সন্দেহভাজন রাব্বী ও ইমনের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারবেন না তারা। তবে তাদের গ্রেপ্তার করলে জানা যাবে তারা এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত কি না।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে নাহিদ এ সংঘর্ষে ব্যবসায়ীদের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন। সে ছাতা নিয়ে এগিয়ে যায়। পরে ছাত্রদের পক্ষ থেকে কয়েকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়ে। এ ঘটনায় কলেজের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা সবাই হেলমেট পরে ছিলেন। তারা পাঁচজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডকে পূর্ব পরিকল্পিত মনে হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাৎক্ষণিক উত্তেজনা থেকে এমনটি ঘটেছে। তবে গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল রাতে ও ১৯ এপ্রিল দুপুরে নিউমার্কেটের দোকান-মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। এতে নাহিদ ও মোরসালিন নামে দুজনের প্রাণহানি এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় অন্তত তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

এরপর গত ২৪ এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় ঢাকা কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও ডিবির সদস্যরা।

এসকেডি