মানিলন্ডারিং মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

২০১৪ সালের ৪ মে মামলার চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এতে ডেসটিনির গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় রফিকুল আমিন, হারুন-অর-রশীদসহ সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

হারুন-অর-রশীদের আইনজীবী মঈনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  তার ক্লায়েন্ট ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির কোনো সদস্য ছিলেন না। সোসাইটির সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার ভূমিকা ছিল না। আদালতের রায়ে হারুন-অর-রশীদ ন্যায়বিচার পাননি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমিনসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। 

এমএইচএস