রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৬ মে) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহার পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে সাবেক ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক আল আমিন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন মামলার এজাহারে বলেন, নিহত শ্রমিক নেতার মেয়ে নিগার সুলতানা আট জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দিয়েছিলেন। কিন্তু থানার ওসি কারসাজি করে সেই এজাহার পাল্টে দেন। ইচ্ছেমতো ছয় জনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া ঘটনার বিবরণও পাল্টে দেন। বেআইনিভাবে তিনি প্রাথমিক তথ্যবিবরণী (এফআইআর) পাল্টে দিয়ে বিতর্কিত মামলা রুজু করেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওসি সাকিল আহমেদের এ নিয়ে সন্দেহজনক ভূমিকা উঠে আসে। 

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতো দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিঃসন্দেহে গুরুতর। যা দণ্ডবিধি ১৬ ও ১৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওসি সাকিল পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গলের প্রবিধান ২৪৩ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচরণ করেছেন তিনি।

তাছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন ওসি সাকিল।  

২০১৯ সালের ১১ জুন পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার ‘এসএস ব্রিকস ফিল্ড’ নামে ইটভাটা থেকে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানা থানায় মামলা করেন। কিন্তু তার এজাহার গ্রহণ না করে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন সাবেক ওসি সাকিল। পরে মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) সংগ্রহ করে দেখেন, তার দেওয়া আট জন আসামির নাম নেই এজাহারে। পাল্টে দেওয়া হয়েছে ঘটনার বিবরণও। আসামির তালিকায় যোগ করা হয়েছে ছয় জনের নাম।  

এমএইচডি/জেডএস