ফাইল ছবি

আদালতের আদেশে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বন্ধ করা কিংবা গুড়িয়ে দেওয়া অবৈধ ইটভাটার তালিকা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫ জেলার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে ৫ জেলার জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতকে জানান, হাইকোর্টের আদেশে অধিকাংশ পরিবেশ দূষণকারী অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। তখন হাইকোর্ট জেলা প্রশাসকদের কাজের প্রশংসা করেন এবং আদালতের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

গত ২০ এপ্রিল আদালতের আদেশ অমান্য করায় এ পাঁচ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

ওই দিন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, এসব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেননি ৫ জেলার ডিসি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকা ও ঢাকার আশে-পাশের ৫ জেলা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এসব ইটভাটা বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে ঢাকায় কি কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে এবং দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। 

এমএইচডি/এসকেডি