সাবেক এমপি আউয়ালের জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
বিজ্ঞাপন
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় একেএম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে গত বছরের ৫ অক্টোবর চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নির্ধারিত সময় পর তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশের পর আউয়াল দম্পতি পিরোজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ওই আদালত তাদের গত বছরের ১৬ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন এবং ৬ ডিসেম্বর স্থায়ী জামিন দেন। পিরোজপুর আদালতের ওই দুটি আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের আবেদন করে দুদক।
আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ পৃথক দুটি মামলা করা হয়। আউয়ালের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়াল অবৈধভাবে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তবে তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আর আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, লায়লা পারভীন অবৈধভাবে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদক বরিশালে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করে। এরমধ্যে একটি মামলায় তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়। এসব মামলায় আউয়াল দম্পতি জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় গত বছরের ৭ জানুয়ারি আউয়াল দম্পতি পিরোজপুর আদালতে হাজির হয়ে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। এ জামিন শেষ হলে একই বছরের ৩ মার্চ তারা জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। এ আদেশের পরপরই ওই জেলা জজকে বদলি করা হয়। এরপর ওইদিন বিকালেই ফের জামিন আবেদন করেন আউয়াল দম্পতি। এ আবেদনে ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ (যুগ্ম জেলা জজ) নাহিদ নাসরিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এমএইচডি/আরএইচ