বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলায় ২৪ জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এছাড়া, একই অভিযোগে ২৫ জনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জি আর) শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় ১১ জনের তিনদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক দুলাল হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অপরদিকে, নিউমার্কেট থানার এক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী ৩৭ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ১২ জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ২৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও সূত্রাপুর থানার এক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা একজনের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় আরও দুইটি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্ত লিখিত পরীক্ষায় রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার কিছু সময় পরই ‘প্রশ্ন কঠিন’ হয়েছে উল্লেখ করে পাঁচটি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন। আরও কয়েকটিতে অন্যদের পরীক্ষায় বাধা দেওয়া, খাতা টেনে ছিঁড়ে ফেলা কেন্দ্রের গাড়ি ও ভবনে ভাঙচুরসহ পরীক্ষার্থীদের একাংশ বিক্ষোভ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশের তথ্য মতে, প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পরপরই রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে ও বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বার কাউন্সিলের পরীক্ষার যে গতানুগতিক ধারা এ প্রশ্নে সেটার ব্যত্যয় ঘটেছে। প্রশ্ন জুডিসিয়ারি পরীক্ষার মতো হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

পরীক্ষার্থীরা জানান, নতুন করে আবার পরীক্ষা নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে সরাসরি ভাইভার মাধ্যমে ফলাফল চূড়ান্ত করতে হবে। এটা নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে আন্দোলনও হয়েছে।

টিএইচ/এমএইচএস