এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তারে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুদক চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও অতিরিক্ত আইজিপি ইমগ্রেশনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিমসহ মামলার দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানি ২৬ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। জামিন আবেদনকারীর পক্ষে তৌফিকুল ইসলাম অংশ নেন।

শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, গত বছর আমরা আদেশ দিয়েছিলাম এ মামলার আসামিদের আত্মসমর্পণের। যদি আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করবেন। এ আদেশ কতটা বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের বলুন। 

দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, মামলার প্রধান আসামি এরশাদ আলী আপনাদের আদেশ না মেনে হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মামলার মোট চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। এরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ কতটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেই বিষয়ে তিন সংস্থার প্রধানের ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট।

জাল ওয়ার্ক অর্ডার ও অবৈধ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে একটি ব্যাংক থেকে ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বছরের ৮ জুন দণ্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করে দুদক। মামলায় এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের সত্ত্বাধিকারী মো. এরশাদ আলীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় অপর ১৬ আসামি ওই বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তা।

এমএইচডি/ওএফ