রিট শুনানি মুলতবি রাখার বিরুদ্ধে শরীফের লিভ টু আপিল
চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে বরখাস্ত হওয়া দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের রিটের শুনানি মুলতবি রাখার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেছেন তার আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।
বিজ্ঞাপন
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, শরীফ লিভ টু আপিল করেছেন। তার আবেদনের কপি আমরা পেয়েছি।
এর আগে গত ২৪ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪(২) বিধি নিয়ে আপিল বিভাগে দুদকের একটি আপিল বিচারাধীন থাকায় ওই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাকরিচ্যুতির আদেশ চ্যালেঞ্জ করে শরীফের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
বিজ্ঞাপন
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০০৮ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করে দুদক। ওই বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ক্ষমতা দুদকের রয়েছে। এরপরই চাকরিচ্যুতি ও ৫৪(২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শরীফ। গত ১৩ মার্চ চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।
সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন।
এমএইচডি/এসএম