কোনো সাংবাদিকের প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে আদালতে না এসে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সে অভিযোগ নিয়ে প্রেস কাউন্সিলে যেতে বলেছেন হাইকোর্ট। 

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অবৈধ সম্পদে অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের পর দায়মুক্তি নিয়ে গত বছর ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করে দুদকের নথি তলব করেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককেও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। 

তার ধারাবাহিকতায় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলটি শুনানির জন্য ওঠে। 

আদালতে ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার সাঈদ আহমেদ খানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

রুল শুনানিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান দুদক আইনজীবী। অন্যদিকে প্রতিবেদকের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে রাষ্ট্রের চার নম্বর স্তম্ভ উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমে স্বাধীনতা, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, সূত্রের (সোর্স) গোপনীয়তা, সুরক্ষা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি তুলে ধরে দুদকের আইনজীবীর আর্জিতে আপত্তি জানান।  

শুনানির এক পর্যায়ে দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, এটি আদালত অবমাননার মামলা নয়। আর সাংবাদিকের কোনো সংবাদের বিষয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে আগে প্রেস কাউন্সিলে যেতে হবে। তাছাড়া এ মামলায় সাংবাদিকের সংবাদের সোর্স আমরা জনতে চাইনি।

উভয় পক্ষের শুনানির পর আদলত রুল নিষ্পত্তি করে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের ওই অভিযোগ নতুন কর্মকর্তাকে ফের অনুসন্ধান করার নির্দেশ দেন।  

এমএইচডি/এনএফ