দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দাঁড়িয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান। তিনি হাইকোর্ট বিভাগে দীর্ঘদিন বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টের নিয়মিত বিল ও বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পৃথক পৃথক হিসাব চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এভাবে হিসাব দিতে কিছুতেই রাজি নয়। তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আপনারা শুনলেও আশ্চর্য হবেন!

তখন পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন,  আলাদাভাবে বিদ্যুৎ বিলের হিসাব দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বকেয়া বিলের সঙ্গে নিয়মিত বিল যোগ হয়। মেঘনা ভিলেজের কাছে পাওনা বিল ১১ লাখ টাকা।

এ সময় আপিল বিভাগ বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের কাছে জানতে চান প্রতি মাসে কত টাকা করে পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি জানান, তিন লাখ টাকা করে পরিশোধ করবেন। তখন আপিল বিভাগ প্রতিমাসে তিন লাখ টাকা করে কিস্তিতে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ গত ১৫ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের মালিকানাধীন মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। পরে হাইকোর্টে রিট করে মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট। গত ১৩ মার্চ হাইকোর্ট কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-৩ এর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন ও মেঘনা ভিলেজে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নির্দেশ দেন।

পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার কারণে আমরা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারছিলাম না। এ কারণে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করি। আপিল বিভাগ আজ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রতিমাসে তিন লাখ টাকা করে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন।

এমএইচডি/আইএসএইচ