করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আট জনকে তিনটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাত বছর সাজা হবে বলে প্রত্যাশা করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তবে ৪২০, ৪৬৬ ও ৪৭১ ধারায় ৩, ৪, ৪ মোট ১১ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে তাদের। এ রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ডা. সাবরিনার রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, করোনার সময় সরকার যেখানে পরীক্ষা ফ্রি করে দিয়েছিল, সেখান এই চক্রটি মানুষের কাছ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি করেছিল। আজ তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত রায় দিলো। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু এই রায়কে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলেছে, ভুয়া সনদ তৈরি করে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এই শাস্তি তাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এটি একটি যুগান্তকারী রায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে দাখিল করেছি। তাদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। এরপর বিজ্ঞ আদালত একটি সুচিন্তিত রায় দিয়েছেন। কাজেই ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আসামিদের সাজা থেকে দুই বছর বাদ হবে, কারণ তারা এরই মধ্যে দুই বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

এএজে/এসএসএইচ