রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট বলেন, আমরা পত্রিকায় দেখলাম একটি ছেলে আন্দোলন করছে। ছেলেটি যে আবেদন করেছে সেটা নাকি সচিব গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

তার কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি আদালতে আসতে পারেন। আমরা বিষয়টি দেখব।

আরও পড়ুন>> রেল ভবনের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু মহিউদ্দিন রনির

বুধবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।

এসময় আদালত দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিককে তার আন্দোলনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেন।

আদালত দুদকের আইনজীবীকে বলেন, রেলের দুর্নীতি-সিন্ডিকেট নিয়ে দুদক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না,তা আমাদেরকে জানান।

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা এবং ভোগান্তির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিসহ গত ৭ জুলাই কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন মহিউদ্দিন রনি। তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশ সদস্যরা তাকে বাধা দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ফলে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি স্থগিত রেখে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই লংমার্চ শুরু করেন রনি।  

এদিকে রনির এ কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রেলওয়ের অনিয়ম ও ভোগান্তির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষ তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছেন। একই দাবিতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এমএইচডি/জেডএস