প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় পেছন থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তা উদঘাটন করা উচিত।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘বিচারক জীবনের কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ বইটি লিখেছেন। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে যারা গুলি করেছে তারা স্বীকার করেছে যে আমরা খুন করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধুমাত্র কি তারাই বলেছে? নাকি অনেক বড় চক্র এর পেছনে কাজ করেছে। যেটি এখনও উদঘাটন হয়নি। কিন্তু এর উদঘাটন হওয়া উচিত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কলকাঠি কারা নেড়েছে।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার কাছে মনে হয় বাংলা, বাংলার মাটি, বাংলার বাতাস, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলা ভাষা। সেজন্য বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে, বাংলা ভাষার কথা বলতে গেলে, বাংলার মানুষের কথা বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ১৯৭৫ সালে। 

প্রধান বিচারপতি ঘুষখোরদের ঘৃণা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন আমরা যারা বলি যে ঘুষ খাই না, তারা কি এমন ঘৃণা দেখেছেন? আমরা বোধ হয় ঘৃণা করতে ভুলে গেছি। আমার কাছে রোজ ৪০ থেকে ৫০টা চিঠি আসে। প্রত্যেকটা চিঠি আমি খুলে পড়ি। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট, দুঃখ দূর করা।  

প্রধান বিচারপতি বলেন, গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ৩০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। তাদের এই পরিশ্রমের কথা সাংবাদিক ভাইয়েরা কেউ লেখেন না। আমরা বাহবা চাইছি না। কিছুটা হলেও গতি বেড়েছে। মানুষের দুর্গতি কিছুটা হলেও কমেছে। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি যাতে তাদের যত দ্রুত সম্ভব আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।

অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কারা জড়িত ছিলেন তাদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানান।
 
আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

এমএইচডি/জেডএস