উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে দুর্ঘটনারোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। 

একইসঙ্গে গত পাঁচ বছরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিআরটি জনগণের নিরাপত্তার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুই মাসের মধ্যে বিবাদীদের এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।

এর আগে সকালে উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গত পাঁচ বছরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিআরটি কী ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খানের পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম এ রিট দায়ের করেন।

সোমবারের (১৫ আগস্ট) ওই দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আরেকটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটে ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জনগণের চলাফেরায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ এ রিট দায়ের করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন। 

নিহতরা হলেন- আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশু সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (৪)। মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমএইচডি/জেডএস