বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সংগৃহীত ছবি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সী মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ের ঘটনার সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। 

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় ৮৫ বছর বয়সী মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১১/১২ বছরের শিশুর বিয়ের কথা বলা হলেও, জন্মসনদে দেখা গেছে বয়স ১৮ বছরের বেশি। বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে তার দাদা-নাতিন সম্পর্ক। তাদের থাকার ঘর পাশাপাশি। উভয়ের সম্মতিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর সুবাদে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়।’

গত ২৪ নভেম্বর জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সী মহির উদ্দিনের সঙ্গে এক ‘শিশুর’ বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। জামালপুরের ডিসি, এসপি ও দেওয়ানগঞ্জের ওসিকে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

গত ২০ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সী মহির উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রামের মাতবররা। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়েছে। সালিশে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে শিশুটির সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতি শাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শিশুটি গর্ভধারণ করে। পরে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতবররা সালিশ করে নাতি শাহিনের অপরাধের দায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন।

 

জেডএস