বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট মিন্টু কুমার মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, রিট খারিজ হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সংগঠনটির সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদসহ তিন সদস্য রিটটি করেন।

কমিটির আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়েছে, দাউদুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনাসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংগঠন। তাই বাণিজ্য সংগঠন আইন, বিধিমালা ও সংঘবিধি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংগঠনটির অডিট রিপোর্ট ও নির্বাচনের কোনো কাগজপত্র নথিতে পায়নি মন্ত্রণালয়।

আদেশে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০০৭-০৮ সালে পক্ষে-বিপক্ষে আদালত ও এফবিসিসিআই আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা হয়। মামলাগুলো চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন কার্যক্রমে বর্তমানে আইনগত বাধা বা প্রতিবন্ধকতা নেই। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।

এমএইচডি/এমএইচএস