ঋণ খেলাপির অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। ইসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারজানা শম্পা ও তামান্না ফেরদৌস।

এর আগে গতকাল ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে নজরুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম খলিলুল্লাহ গতকাল রিটটি দায়ের করেছেন।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সদস্য পদে ১০ জন ও ৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহম্মদ হুমায়ুন কবির প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন।

চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক। অপরদিকে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এম খলিলুল্লাহর প্রতীক চিংড়ি মাছ। তিনি একজন ব্যবসায়ী।

আগামী ১৭ অক্টোবর সাতক্ষীরায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ১ হাজার ৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এমএইচডি/এমএইচএস