রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে পারুল আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের মামলায় আল-মামুন (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ অক্টোবর) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালত এ রায় দেন। 

মারা যাওয়ার সময় পারুল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলায় আদালত আসামিকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ২০ জুলাই ঈগল লঞ্চের ৩০৮ নম্বর কেবিন থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লঞ্চের কেবিনে থাকা তার কোচিং শিক্ষক আল-মামুনকে আটক করা হয়। 

ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে ৩০৮ নম্বর কেবিনের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত দেখে কেবিন বয়ের সন্দেহ হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের ওপর পারুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায়।

পারুলের বাবার নাম গেদা মিয়া। তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল চন্দ্র জানিয়েছেন, মামলার বিচারকালে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীর মো. পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল পারুল আক্তার। বাড়ির পাশে কোচিং করার সময় সেই কোচিংয়ের শিক্ষক আল-মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। শারীরিক সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে পারুল। 

ঘটনার দিন কাউকে কিছু না বলে বরগুনার উদ্দেশে ঈগল-৩ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর কেবিনে পারুলকে নিয়ে ওঠেন মামুন। সেখানে মামুন পারুলের সঙ্গে অন্য একটি ছেলের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলেন। 

পারুল তা অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মামুন তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পারুলের গলা কাটে। পারুলের গলা থেকে রক্ত গড়িয়ে কেবিনের বাইরে এলে লঞ্চের অন্য লোকজন এসে মামুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

এনআর/আরএইচ