লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশে অনুমোদন দেননি হাইকোর্ট। ফলে চার আসামি খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।  

ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। 

অপরদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান বলেন, হাইকোর্টের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে কমলনগর উপজেলায় একটি ঘরের দরজা ভেঙে আট-নয়জন এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে তারা গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাশেম।

বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন উপজেলার চর বসু গ্রামের ছানাউল্লাহ, আন্ডার চর গ্রামের মো. রহিম, চর কালকিনি গ্রামের মো. হারুন ও একই গ্রামের আবুল কাসেম।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। 

আপিলের শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। রায়ে ৪ আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। 

এমএইচডি/এসএম