ফাইল ছবি

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী ও বান্ধবী অবন্তীকার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল অবন্তীকাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।

দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন অবন্তীকাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করেন আজ। এর আগে ১৩ জানুয়ারি অবন্তীকাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

গত ১৩ জানুয়ারি সকালে ধানমন্ডির ১০ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম অবন্তীকাকে গ্রেপ্তার করেছিল।

এরআগে ২৮ ডিসেম্বর পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বান্ধবী অবন্তীকা বড়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। ওই তলবে হাজির হননি অবন্তীকা।

অবন্তীকার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, পি কে হালদার, তার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী এবং  অবন্তীকা বড়াল মিলে প্রথমে ‘সুখদা’ নামে একটি কোম্পানি করেন। এরপর ‘সুখদা’র শেয়ার দিয়ে খোলেন হাল ইন্টারন্যাশনাল। এই হালের পরিচালক হন প্রীতিশ ও তার স্ত্রী সুস্মিতা। আবার এই হালের ৯০ ভাগ শেয়ারের মালিক হন সুখদার পক্ষে প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তীকা। হাল ক্যাপিটালের ৯০ ভাগ শেয়ারের মালিক থাকে হাল ইন্টারন্যাশনাল। বাকি ১০ ভাগ রাখা হয় হাল ক্যাপিটালের দুই কর্মচারীর নামে। তারাই হাল ক্যাপিটালের নামে আগে থেকে বিদ্যমান মাইক্রোটেকনোলজি নামে একটি কোম্পানির শেয়ার কেনেন। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

পিকে হালদারের দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত ৮৩ ব্যক্তির প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

টিএইচ/এনএফ