রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি। পরবর্তী অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অধিকতর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ মামলার এক আসামি মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর মারা গেছেন। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অবগত করলে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। 

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) জাকির হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা (২০), রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), হাদিসুর রহমান সাগর (৪০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলম্যান (৩৩), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান ও মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর।

এদের মধ্যে প্রথম ছয় আসামি হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮) এবং আব্দুর রউফ প্রধান জামিনে আছেন। বর্তমানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনসহ ৭ আসামি কারাগারে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়িতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ৯ জঙ্গি মারা যান। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ, অপর একজন পালিয়ে যায়। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এনআর/এসএম