দুই ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানি ৭ নভেম্বর 

২০১৮ সালের মার্চে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানার তৎকালীন ওসিসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ শুনানির জন্য ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারক শুনানি পিছিয়ে নতুন এই দিন ধার্য করলেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।
 
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান, রমনা থানার তৎকালীন ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার তৎকালীন এস আই সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান মুন্সি, অমল কৃষ্ণ ও শাহরিয়ার রেজা। এ ছাড়া দুই থানার অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রের বিবরণীতে বলা হয়, মিলন ২০১৮ সালের ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার জন্য রওনা হন। ওই দিন সকাল ১০-১১ টায় মানববন্ধন শেষ করে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ ঢাকা মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে বাদীর ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনসহ অপর ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন ফরাজীকে আটক করে পুলিশ সদস্যরা নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে প্রথমে রমনা থানায় নিয়ে যান। 

রমনা মডেল থানার ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মিলন ও তার সঙ্গে থাকা আক্তার হোসেন ফরাজীকে নির্যাতন করেন। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে সেখানেও নির্মমভাবে বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয় ভিকটিম জাকির হোসেন মিলন ও আক্তার হোসেন ফরাজীকে।

বাদী হন্য হয়ে খোঁজাখুজি করে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে জানতে পারেন মার্চের ৮ তারিখ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে তার ভাতিজা জাকির হোসেন মিলনকে জখম অবস্থায় কোর্টে উঠানো হয়েছে। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন দিয়ে তা মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

একই সালের ১১ মার্চ বাদী শুনতে পান, ভুক্তভোগী জাকির হোসেন মিলনকে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে হাজির করে। সেদিন সকালে বাদী ঢাকার সি এম এম আদালতে হাজির হয়ে দেখতে পান, দুইজন পুলিশ সদস্য মিলনকে কোর্টে হাজির করেছেন। নির্মম নির্যাতনের শিকার মিলনকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আদালতে হাজির করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এনআর/আরএইচ