মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পৃথক দুটি আইনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় তিন কারণে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।

যেসব কারণে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ—

(১) বাবুল আক্তার জেলা কারাগারে থাকাকালে কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য-উপাত্ত বিদেশে থাকা আসামি ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছে এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার জন্য।

আরও পড়ুন : বনজ কুমারের মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে

(২) তিনি কার প্ররোচনায় মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ ব্যাহত করার জন্য ভিডিও প্রকাশে সহযোগিতা করেছে, ওই প্ররোচনাকারী ব্যক্তির নাম, ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তারের জন্য।

(৩) বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড প্রস্তুত করেছে কি না, ভিডিওতে থাকা ভয়েস রেকর্ডে বাবুল আক্তার বাদী বনজ কুমারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন বলে শোনা যায়, সেই ভয়েস রেকর্ডে থাকা কণ্ঠস্বর বাবুল আক্তারের নিজের কি না বা ভয়েস রেকর্ডের অপর প্রান্তে কে ছিল তা জানা প্রয়োজন।

আদালতের ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বুধবার (৯ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম আদেশ দেন— রিমান্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত ব্যবস্থা নেবেন।

এনআর/এসএসএইচ