বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তার বান্ধবী বুশরাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করছে তদন্ত সংস্থা।

মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে এসব উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান। এ বিষয় আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আমাতুল্লাহ বুশরাকে (২২) পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়ে উচ্চ আদালতের নিয়ম মেনে সতর্কতার সঙ্গে মামলা মামলা সংক্রান্তে বুশরাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। বুশরা জামিনে মুক্তি পেলে তদন্ত কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করছি। 

এর আগে ১০ নভেম্বর বুশরাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে রামপুরা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।  

মরদেহ উদ্ধারের দু’দিন পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় বুশরাকে। 

১২ নভেম্বর দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ফারদিন হত্যায় এখনও কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। 

এনআর/এমএ/এনএফ