আদালতের সামনে থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেমনে করছেন তারা। আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে উপস্থিত করার কথা থাকলেও শুধু হাতকড়া পরিয়ে আনা হয়।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানোর কথা। কিন্তু তাদের কেন তা পরানো হলো না তা বোধগম্য নয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রেপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির নিশ্চিত করেছেন আসামিদের কেবল হাতকড়া পরিয়ে আনা হয়েছিল। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হওয়া উচিত ছিল। তাদেরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনা হয়নি শুধু হাতকড়া পরিয়ে আনা হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।

রোববার (২০ নভেম্বর) ঢাকার একটি আদালতের সামনে থেকে ২ আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। ওই দুইজন প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুরো কাজটি হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে, জঙ্গিদের ভয়ে কেউ সামনে এগিয়ে আসেনি। 

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে মোটরসাইকেলে থাকা লোকেরা সিগন্যাল দেওয়ার পর গেটের কাছে এসে আসামিরা পুলিশকে কিলঘুষি দেওয়া শুরু করে। এর মধ্যে গেটের দারোয়ান ধরতে এলে তাকে স্প্রে মারা হয়, তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পার্কিংয়ে আরও ৩ জন ড্রাইভার ছিলেন, তাদেরও স্প্রে মেরে অজ্ঞান করা হয়। পথচারী ছিলেন অনেক, তাদের মধ্যে প্রথম কয়েকজনকে স্প্রে মারার পর বাকি পথচারীরা সরে যান। ‘ওপেন’ কাজ হয়েছে, কিন্তু কেউ ভয়ে সামনে যায়নি। বাইরে ওনাদের যে লোকজন ছিল তারাও হয়তো চাকু-ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এজন্য কেউ সামনে যায়নি।

এ ঘটনায় ঢাকাজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকার প্রতিটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।

এনআর/জেএস