কড়া নিরাপত্তায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জঙ্গিদের। নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ মো. মশিউর রহমান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে জেরা করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি জানিয়েছেন। 

এর আগে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অভিযোগ গঠনে ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণা পিছিয়ে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর থেকে মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মামলাটিতে অভিযুক্ত পাঁচ আসামি হলেন জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান (১৯), মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ ওরফে এরফান ওরফে মুশফিক (১৯), মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর (২৩), মাওলানা জুনেদ আহমেদ ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের (৩০) ও আবদুল্লাহ ওরফে মো. আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে বড় ভাই (২৮)।

এদের মধ্যে মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের ও আবদুল্লাহ ওরফে মো. আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে বড় ভাই পলাতক রয়েছেন।

এদিন কারাগারে থাকা তিন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়। 

২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহ মো. মশিউর রহমান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল সংলগ্ন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বেগুনবাড়ী এলাকায় নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল নামে দুজনকে আটক করে সাধারণ জনগণ। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। ওই ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মনির হোসেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হত্যা মামলা করেন।

এনআর/এমএ