ভয়ভীতি দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মুরাদ হুসাইন। অন্যদিকে আসামি পক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর কালার ভিশন নামে এক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহ আলম মামলার বাদী রাসেলকে ৯ লাখ টাকা দেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক মতিঝিল শাখার অ্যাকাউন্টে জমা দিতে। তিনি সকাল ১০টার দিকে টাকা নিয়ে মতিঝিল থানাধীন জনতা ব্যাংকের পাশে পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর পরিচয় জানতে চান।

ব্যাগ চেক করে এবং টাকা দেখে বলেন, সে (বাদী) অবৈধ ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করেছে। মামলা আছে জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি-হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে আরেকজন এসে বলে, স্যার যা বলে তাই শোন, তোর ভালোর জন্য বলছি। ‘তুই মোটরসাইকেলে ওঠ না হলে স্যার কিন্তু তোর কঠিন ক্ষতি করবে।’

বাদী রাসেল ভয় পেয়ে মোটরসাইকেলে উঠেন। তাকে হানিফ ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদ ঢালে নামিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ৯ লাখ টাকা নিয়ে যায়। রাসেলের পকেটে থাকা ২১০০ টাকাও জোর করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর রাসেল ওই দুই ব্যক্তিকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। ২৩ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে মতিঝিল সিটিজেন ব্যাংক লি. এর প্রধান শাখার সামনে ওই দুই ব্যক্তিকে দেখে রাসেল। উপস্থিত লোকজনের সহায়তা নিয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। উজ্জ্বল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও অপরজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাসেল আহমেদ মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

এনআর/এসকেডি