মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। এ মামলায় সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত নতুন এদিন ধার্য করেন। সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নতুন দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। 

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একই আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মওলা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন কারাগার থেকে সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। 

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন—স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এই মামলাটি দায়ের করেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনার নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এনআর/কেএ