৩৩তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত একজন, ৩৪তম বিসিএসে সুপারিশ প্রাপ্ত একজন, ৩৫তম বিসিএসে সুপারিশ প্রাপ্ত একজন এবং ৩৯তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ২ জনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটকারী পাঁচ জন হলেন, ৩৩তম বিসিএসের সাফায়েত হোসেন, ৩৪তম বিসিএসের শাহিন সুলতানা, ৩৫তম বিসিএসের আরিফুজ্জামান এবং ৩৯তম বিসিএসের সাইফুল আলম ও মেহেরিন আক্তার সারওয়ার।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫টি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন। রায়ের কপি পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

পরে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএস, ২০১৩  সালে ৩৪তম বিসিএস, ২০১৪ সালে ৩৫তম বিসিএস, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএসের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে রিটকারীরা আবেদন করেন। যথারীতি লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন রিটকারীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। কিন্তু তারা নিয়োগবঞ্চিত হন। বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ প্রদান না করায় তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারীরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন এবং তাদের নিয়োগের পথ সুগম হলো।

এমএইচডি/এসএম