রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। একই মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

তাদের বিরুদ্ধে অন্য মামলায় পরোয়ানা না থাকায় রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল আলম তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

এরপর তাদের আইনজীবী জামিননামা দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্য মামলায় পরোয়ানা না থাকায় সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে তাদের ছেড়ে দেন পুলিশ।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। 

একই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ চার শতাধিক নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পৃথক ২ মামলায় ২৩ জনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন—বিএনপির সহ-জলবায়ু সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপি নেতা শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, সারোয়ার হোসেন শেখ, সাইদুল ইকবাল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, আল-আমিন, সাইফুল, শুভ ফরাজি, মাহমুদ হাসান রনি, জামিল হোসাইন, হারুনুর রশীদ, রিয়াদ আহমেদ, রবিউল ইমরান, জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, মোস্তাক মিয়া, মাহাবুব মিয়া, খোরশেদ আলম সোহেল ও সোহাগ মোল্লা।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়াও মতিঝিল থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এনআর/এসএম