বিএনপি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেছেন, এই মামলার এজাহারে থাকা দুই আসামিকে ইতোমধ্যে আদালত জামিন দিয়েছেন। এই মামলার এজাহারে যাদের কথা বর্ণনা করেছে, তাদের বলেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কর্মী। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অপরাধ করেছেন এমন কোনো কথা সেখানে বলা হয়নি।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, ৭ তারিখের মামলায় ৯ তারিখ পর্যন্ত এই দুই দিনের কোনো বিষয় আসেনি। আমরা আদালতকে বলেছি, মির্জা আব্বাস এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বয়স্ক মানুষ এবং অসুস্থ। ওষুধ ছাড়া তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চলে না। আগামীকাল একটি জনসভা আছে। সেখানে মির্জা ফখরুল প্রধান অতিথি এবং মির্জা আব্বাস বিশেষ অতিথি। তারা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করে ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন। এজাহারে তাদের নাম নেই। তাই এই কথিত ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এজাহারে আমানুল্লাহ আমান এবং আব্দুল কাদের ভূঁইয়ার নাম আছে, তাদের জামিন দিয়েছেন। যেহেতু এজাহারে তাদের নাম নেই তাই তাদের জামিন দিয়ে দেন। এই বয়স্ক দুই মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ যে ফরওয়ার্ডিং আদালতে পাঠিয়েছে সেখানেও তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। ১০ তারিখের সভা সামনে রেখে সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে ফ্রাস্টট্রেটিং করতে চাইছে। এই সরকার ভোটার বিহীন সরকার, তাদের ভয় হলো জনগণ একত্রিত হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে তাদের যেকোনো সময় পতন হবে। সেজন্য তারা জনগণ দেখলেই ভয় পায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, ঘটনার সময় এই দুজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবৈধ কাজ করেছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে, ককটেল নিক্ষেপ করেছে। এতে জনদুর্ভোগ হয়েছে, মানুষ আহত হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। ৭ তারিখের ঘটনা কেন হয়েছিল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

তিনি বলেন, তদন্তনাধীন মামলায় পুলিশ যে কাউকে ডাকতে পারে। তাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার তারা পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং তারা উসকানি দিয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বিএনপি অফিসের ভেতরে বোমা পাওয়া গেছে। ১৬০ বস্তা চাল, তেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এই ঘটনাগুলো তারা কেন ঘটিয়েছে, কি দুরভিসন্ধি তা উদঘাটন হওয়া দরকার। এই মামলায় গতকাল কয়েকজনকে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি হয়েছে। উভয়পক্ষকে শুনেছে আদালত। তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।

এই দুজনের সম্পৃক্ততা থাকলে কেন রিমান্ড চাওয়া হলো না— জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, কেন রিমান্ড চাওয়া হলো না এটার জবাব তো আমি দিতে পারব না। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবে।

/এমএইচএন/এসএসএইচ/